গণনা এবং হিসাব-নিকাশের কাজে সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। কোনো সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়।
সংখ্যা পদ্ধতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
যে সংখ্যা পদ্ধতির অংক সমূহে নিচের বৈশিষ্ট গুলো থাকে না তাদের অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলেঃ
যেমনঃ রোমান সংখ্যা পদ্ধতি, হায়ারোগ্লিফিক্স সংখ্যা পদ্ধতি ইত্যাদি।
রোমান সংখ্যা পদ্ধতি একটি অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি।
I = 1 II = 2 III = 3 IV = 4 V = 5 VI = 6 VII = 7 VIII = 8 IX = 9 X = 10
রোমান সংখ্যা পদ্ধতির কোনো ভিত্তি (Base) নেই। এর প্রতিটি অংকের নির্দিষ্ট মান নেই। এখানের অংক গুলোর স্থানীয় মান নেই। প্রতিটি সংখ্যার আলাদা আলাদা মান থাকে। যেমনঃ V এর মান 5, IX এর মান 9 ইত্যাদি।
এক রোমান মেয়েকে তার মোবাইল নাম্বার দিতে বলা হলে সে কাগজে তার মোবাইল নাম্বার লিখে দিলঃ
"IIIVVIVIIIXIIIIVVIIIX"
ভিত্তি (Base)
কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট যতগুলো মৌলিক চিহ্ন (অংক) ব্যবহার করা হয় তাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বা Base বলে। যেমনঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন ১০টি, এগুলো হল- ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯; তাই এর ভিত্তি ১০।
কোনো সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি সংখ্যাটির ডানে-নিচে-কোনায় লিখা হয়। যেমনঃ
Decimal ➡ (123)10
Binary ➡ (1111011)2
Octal ➡ (173)8
Hexa-decimal ➡ (7B)16
যে সংখ্যা পদ্ধতির অংক সমূহে নিচের বৈশিষ্ট গুলো থাকে তাদের স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলেঃ
যেমনঃ দ্বিমিক (binary) সংখ্যা পদ্ধতি, দশমিক (decimal) সংখ্যা পদ্ধতি, অক্টাল (octal) সংখ্যা পদ্ধতি, হেক্সাডেসিম্যাল (hexadecimal) সংখ্যা পদ্ধতি ইত্যাদি।
দশমিক (decimal) সংখ্যা পদ্ধতি একটি স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি। এ সংখ্যা পদ্ধতিতে কোনো সংখ্যার প্রতিটি অংকের স্থানীয় মান আছে। এর ভিত্তি (base) আছে। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ১০। নিচে 1234 সংখ্যাটির স্থানীয় মান দেখানো হয়েছে।
1234
│││└ 4 × 100 = 4
││└─ 3 × 101 = 30
│└── 2 × 102 = 200
└─── 1 × 103 = 1000
──────
1234
এখানে প্রতিটি অবস্থানের নির্দিষ্ট মান আছে। যেমনঃ ডান থেকে তৃতীয় অবস্থান আছে 2, ঐ অবস্থানের মান 102 = 100, তাই ঐ অবস্থানে 2 এর মান 2 × 100 = 200।